শরিফা বেগম শিউলী
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর মডার্ন মোড়ের নবাব হোটেলের মালিক নবাব মিয়াকে( ৫৮)সহ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত ১ আগষ্ট রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে মডার্ন মোরস্থ্য নবাব মিয়ার হোটেলের সামনে বাসের যাত্রী তুলে দেওয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রাব্বী মিয়ার (২২) সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় মোঃ আমিনুল ইসলাম (৪৫)এর সাথে। এ ঘটনায় রাব্বী মিয়া (২২)একপর্যায়ে নবাব মিয়ার হোটেলের রান্না ঘড়ের ভিতর প্রবেশ করে আমিনুল ইসলামকে মারপিট করার জন্য জ্বালানী কাঠ খড়ি নিয়ে হোটেল থেকে বাাহিরে আসতে চাইলে বৃদ্ধ নবাব মিয়া রাব্বীকে বাঁধা দেয়। এতে করে রাব্বী ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধ নবাব মিয়াকে এলোপাতারি কিল-ঘুষি মারে এবং তার হাতে থাকা কাঠের খড়ি দিয়ে বৃদ্ধ নবাব মিয়ার পায়ে(হাটুতে) আঘাত করে ছেলা জখম করে। পরে রাব্বী মিয়াসহ অন্যান্যরা মিলে বৃদ্ধ নবাব মিয়াকে এলোপাতারি লাথি-ঘুষি মারে। এ ঘটনায় ২ আগষ্ট নবাব মিয়া বাদী হয়ে তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলার আসামী (১)মোঃ মোক্তারুল ইসলাম বাবু (৩০) ( ২) মোঃ রাব্বী মিয়া (২২) (৩) মোঃ মাহামুদুল ইসলাম (২৫) উভয়ের পিতা হাফিজার রহমান (৪) মোঃ মালেক মিয়া (৫১)পিতা মৃত আফসারআলী, সবার বাসা,আশরতপুর কোটপাড়া,(৫) মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৪)পিতা শুকরা মিয়া, (৬) মোঃ সাজু মিয়া (৩২)পিতা,বাদশা মিয়া, উভয়ের বাসা আশরতপুর চকবাজার, থানা তাজহাট, রংপুর। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত ২ আগষ্ট নবাব মিয়াকে মার ধরের ঘটনার আপোষ-মিমাংসা করার জন্য, ১,২,ও ৩ নং আসামীর পিতা হাফিজার রহমান, আপোষ- মিমাংসার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সাবেক ইউপি সদস্য ও মর্ডান মোড় দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ওহাব মিয়ার বাড়িতে গিয়ে আপোষ- মিমাংসার বিষয়ে আলোচনা করার কথা বলেন। আলোচনার সময় আসামী গন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে, হাতে লাঠি সোটা ও ধারালোঅস্ত্র নিয়ে ওহাব মিয়ার বাড়িতে ১ নং আসামী মোক্তারুল ইসলাম বাবুর হুকুমে, ২ নং আসামী রাব্বী মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে নবাব মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়ার মাথায় ছুরি দিয়ে আঘাত করলে শুরুত্বর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে, লোকজন ধরাধরি করে রক্তাক্ত অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং ১ নং আসামীর হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে রাহেদুল মিয়া(৩৪) এর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে, এসময় আপোষ- মিমাংসার স্থান ওহাব মিয়ার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিনের বেড়া, দরজা,জানালা এবং আসবাব পত্র ভাংচুর করে প্রায় ২৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে,। চিল্লাচিল্লি শুনে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে রুবেল নামে একজনের মাথায় ৯টা শেলাই পড়েছে।উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া আলম শিবলু বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করা হবে। এ ব্যপারে পুলিশ আমাদের সহায়তা করবে বলেছে।এদিকে তাজহাট মেট্রোপলিটন থানার অফিসার ইনচার্জ আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে যারা প্রকৃত অভিযুক্ত আসামি তাদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমান তারা পলাতক। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অতি দ্রুতই অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।##