লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিচারের সময় মোবাইলে ভিডিও হচ্ছে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তি থানায় মামলা ।
উল্লেখ্য যে বিগত কয়েক বছর ধরে জমি- জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে বে-মাতা ভাইদের মাঝে জমি ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মামলা চলে আসছে। এ মত অবস্থায় ২৪ জুলাই বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান করতে বলা হলে, জমি সার্ভের জন্য দুই পক্ষের জমি মাপকারী ব্যক্তি সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ মিমাংসার জন্য বসে। বসার এক পর্যায়ে স্থানীয় মেম্বার ভিডিও করতে নিষেধ করলে দুই পক্ষের মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি শুরু হলে বাদী পক্ষের এক জনের নাক ফেটে যায় এরপর দুই পক্ষেই পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। এরপর আসামী পক্ষের হয়ে রেয়াজুল ইসলাম বাদী হায়ে একটি অভিযোগ এবং বাদী পক্ষের হয়ে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টিকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মামলা রেকর্ড না করে মিমাংসা করবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে অনেকে জানান। তবে হঠাৎ মামলটি রেকর্ড হয়েছে থানায় শুনে এলাকাবাসী ও নেতৃবৃন্দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাদী পক্ষের প্রতিনিধি স্থানীয় মেম্বার আতাউর রহমান জানান, ঘটনাটি তুচ্ছ মোবাইলে ভিডিও নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে এমনটি ঘটে।
আসমী পক্ষের প্রতিনিধি স্থানীয় মেম্বার বলেন, ঘটনাটি তুচ্ছ তবে মামলার বিষয়টি দুঃখজনক। বাদী পক্ষ জঙ্গী সহ নানান মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে যেটি বানোয়াট ও মিথ্যা ।এভাবে চললে স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগনের দূরত্ব সৃষ্টি হবে।
বাদীপক্ষের মিলন বলেন, আমাকে মেরেছিল যেহেতু মিমাংসা হয়নি তাই মামলা করে দিয়েছি।
আসমীপক্ষের রেয়াজুল ইসলামের সাথে কথা হলে জানান, ধস্তাধস্তির মাঝে তার সামান্য নাক ফেটে যায়, তবে মামলায় উল্লিখিত ধারা গুলো সত্য নয়। সম্পুর্ন মিথ্যা। আমরা সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই।
এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে জানান, বিষয়টিতে মামালা হয়েছে শুনেছি। তবে দুই পক্ষেই গরীব মামলা চললে দুই পক্ষেই আর্থিক সমস্যায় পরবে।
পাটগ্রাম থানা অফিসার ইন চার্জ বলেন, বিষয়টি যহেতু মামলা হয়েছে, এখন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সমাধান হবে।