বাঘা ( রাজশাহী) প্রতিনিধি।
জনপ্রতিনিধি দের দায়িত্ব জনগনের সেবা করা বা আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ানো। আবার কিছু জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব গ্রহনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠে বা জনগনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানিও করে থাকেন। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন এর হরিরামপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে নওশাদ আলীর সাথে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ মান্নান স্ব- দলবলে ২৫ জুলাই রাত্রি আনুমানিক ৯.৩০ ঘটিকায় নওশাদ আলীর বাড়িতে হঠাৎ ইট পাটকেল ছুড়ে এবং হুইসেল (বাঁশি) বাজিয়ে আনন্দ উল্লাস করে। তাদের এহেন কাজ করতে নিষেধ করলে ইউপি সদস্য আঃ মান্নান এর হুকুমে তার ছেলে আলামিন, দুলালের ছেলে আবু সাইদ মিষ্টার, শহিদুলের ছেলে শিমুল, জানুর ছেলে সাগর ইষ্টারের ছেলে শাবদুল, আসকানের ছেলে রবিউল, আবুলের ছেলে আকাশ, সাজদারের ছেলে সুজন সহ ১০/১২ জন অজ্ঞাত নামা সর্ব সাং- হরিরামপুর জোড় পূর্বক নওশাদ আলীর বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে মারার জন্য চেষ্টা চালায়। নওশাদ আলীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ প্রাণে মেড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে বলে অভিযোগ সুত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় ব্যক্তি বলেন, মান্নান আগে দেশের বাহিরে থাকতো,সেখানেও মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার ও মারধর ঘটনায় দেশে ফিরিয়ে দিয়েছে।মান্নান এলাকায় এখন মাদক ব্যাবসায়ী দের সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এখন মনিগ্রাম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হওয়াতে হরিরামপুর এলাকার হিন্দু এক বাড়ীতে মানুষের মল ছুরে মেরেছে।আর এক জনের আম ভেঙ্গে পেরে নিয়ে গেছে। অন্য আরও এক জনের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে এই মান্নান মেম্বার।
ইউপি সদস্য আঃ মান্নান বলেন, ঘটনাটি সম্পুর্ণ মিথ্যা,,আমি ও আমার ছেলে সে সময় ঘটনার সাথে ছিলাম না।মোবাইল ফোনে নওশাদ আমাকে ঘটনাটি জানায়।আমি ও আমার ছেলে নওশাদের সাথে দেখা করলে নওশাদ আমার ছেলেকে মারতে চাই।এ বিষয়ে আমিও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।