আবুল হাশেম রাজশাহী প্রতিনিধি।
কালু বলে ডাক দিলেই সাড়া দেয় অনেক সাধের কালু। দীর্ঘ আড়াই বছর আদর যত্নে লালন পালনের পর আগামী ঈদ-উল আজহাতে বিক্রি করা হবে কালু কে। বিশাল শরীরের অধিকারী হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই আশপাশের লোকজন কালুকে দেখতে আসেন। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মধ্যে ‘কালু সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন মালিক নজরুল ইসলাম (আন্তাজ)। তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন সাড়ে ১২ লাখ টাকা।
কালুর শরীর কালো রঙের, কালু একটি দেশি জাতের ষাঁড়, যেটি লম্বা ১০ ফুট, উচ্চতা ৫ ফুট ও ৪ দাঁতের একটি সুস্থ সবল ষাঁড়। এর বয়স আড়াই বছর (৩০ মাস), কালুর ওজন ৩০ মণ হবে বলে দাবি করেন এর মালিক আন্তাজ।
বিগত আড়াই বছর আগে নজরুল ইসলাম সিডি হাট থেকে ৩৮ হাজার টাকায় ক্রয় করেন
কালুকে। তখন কালু ছিল দুধের বাছুর। অনেক পছন্দ করে আন্তাজ কালুকে নিয়ে যান উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোর পুর বিলপাড়া গ্রামে। নজরুল অনেক ভালোবেসে এই বাছুর গরুটির নাম রেখেছেন ‘কালু ’। কৃষি কাজ ও গরুর ব্যবসার পাশাপাশি তিনি এই কালুকে খুব স্বযত্নে লালন পালন করে বড় করেছে। এবারের পবিত্র ঈদুল আজহায় ‘কালু’কে বিক্রি করা হবে।
প্রথমের দিকে কালুকে অন্য গাভীর দুধ কিনে খাওয়াতেন। পাশা-পাশি প্রয়োজন মতো অন্য খাবার দিতেন এবং মনের মতো পরিচর্যা করেন। ভালোবেসে নাম রাখেন ‘কালু’। আড়াই বছর আগের ছোট্ট কালু দিনে দিনে ওজন বেড়ে গরুটি ২৫ মণে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি আগামী কোরবানির ঈদে গরুটি (কালু) বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, গমের ভুষি, ছোলা(বুট),ভুট্টার আটা, এ্যাংকর ডাল, সরিষার খৈল, খুদের ভাত,পাকা কলা,গাজর,(মৌসুমি ফল) আম ও কাঁঠাল ।
এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম জানান,কালু কে আমি ছোট থেকে লালন পালন করেছি। আমি কালু বলে ডাক দিলেই সাড়া দেয়। তার উপর আমার অনেক মায়া, তবু ছেড়ে দিতে হবে। আমার সখের কালু কে কিনতে আগ্রোহীরা যোগাযোগ করুনঃ ০১৭১৬-১৪৭০৯৩। স্থানীয়রা জানান,গরুটি এই এলাকার সবচেয়ে বড় গরু।
সব মিলিয়ে এলাকাবাসী বা দূর-দূরান্তের লোকদের গরুটির প্রতি আগ্রহের কমতি নেই। ন্যায্য দাম, একটু কম বেশি হলেও গরুটি তিনি বিক্রি করবেন বলে জানান।